তাসনিয়া ফারিণ :
বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের
জনপ্রিয় অভিনেত্রী, মডেল
ও
গায়িকা। ৩০
জানুয়ারি ১৯৯৮
সালে
মেহেরপুর, খুলনায়
জন্মগ্রহণ করেন
তিনি।
বাবা
ব্যবসায়ী, মা
শিক্ষক
বলতে
পারি
তার
একটা
মসৃণ
পারিবারিক পরিবেশ
ছিল
।
শিক্ষাজীবন
শৈশব
কেটেছে
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও
পাবনায়,
কারণ
বাবার
সরকারি
চাকরির
প্রভাবে পরিবার
ঘুরে
বেড়িয়েছে। তার
প্রাথমিক ও
মাধ্যমিক শিক্ষা
হয়
হলিক্রস স্কুল
ও
কলেজে।
পরে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব
প্রফেশনালস (বিইউপি)
থেকে
মার্কেটিং বিভাগে
বিজনেস
অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ)
ডিগ্রি
সম্পন্ন করেন
।
২০২৩
সালে
তিনি
তার
স্নাতক
সনদ
গ্রহণ
করেন
।
অভিনয় জীবন
২০১৭
সালে
নাটক
“আমরা আবার ফিরবো কবে” দিয়ে ছোট
পর্দায়
অভিষেক;
এরপর
“এক্স বয়ফ্রেন্ড” নাটকে তার
অভিনয়
তাকে
ব্যাপক
জনপ্রিয়তা এনে
দেয়।
এরপর
সে
ধারাবাহিকভাবে অসংখ্য
নাটক,
টেলিফিল্ম ও
ওয়েব
সিরিজে
কাজ
করেছেন। এর
মধ্যে
উল্লেখযোগ্য নাটক—‘চারকাহন’, ‘টাপুর‑টুপুর’, ‘দৌড়া
বাজান’,
‘পুলিশ
একজন
মানুষ’,
‘লাড্ডু
সোনা’,
‘মাস্ক’।
ওয়েব
সিরিজ
‘ট্রল’,
‘লেডিস
অ্যান্ড জেন্টলম্যান’, ‘পাশের
বাসার
মেয়ে’,
‘নেটওয়ার্কার বাইরে’—এই সমস্ত জি
ফাইভ
ও
জি
প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন
করেছেন
।
২০২২
সালে
Mostofa Sarwar Farooki’র
পরিচালিত “লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান” –এ কেন্দ্রীয় চরিত্র
পালন
করেন,
যা
তাকে
আরও
খ্যাতি
এনে
দেয়
।
চলচ্চিত্র ও পুরস্কার
২০১২
থেকে
শুরু
করে
ইনডাস্ট্রিয়াল কাজ
থাকার
পর,
২০২১
সালে
“Networker Baire” চলচ্চিত্রে অভিনয়
করেছেন
।
২০২4
সালে
মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র “Fatima” তার বড়
পর্দার
অভিষেক—দুটি যুগের মূল
চরিত্রে অভিনয়ের জন্য
৪২তম
Fajr আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় তিনি
সেরা
অভিনেত্রীর পুরস্কার (Crystal Simorgh) জয় করেন
।
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে
রয়েছে:
- Channel I Digital Media Award for Best Actress (Web
Series) – ২০২২
- Meril‑Prothom Alo Critics Award – সেরা অভিনেত্রী
(Limited Length Film) – ২০২২
ব্যক্তিগত জীবন
১১
আগস্ট
২০২৩
সালে
দীর্ঘদিনের প্রেমিক শেখ
রেজওয়ানের সঙ্গে
তিনি
বিয়ে
সম্পন্ন করেন
।
বডি মেজারমেন্ট
তাসনিয়ার শারীরিক মাপ
– উচ্চতা:
৫′৪″ (১৬২ সেমি),
ওজন: ৫৬
কেজি;
বডি সাইজ:
৩৪‑২৪‑৩৪
ব্রা
সাইজ:
৩৪বি
কোমর:
২৪″
হিপ: ৩৪″
চোখ
ও
চুল
– কালো
তাসনিয়া ফারিণের পথচলা
মাধুর্যে ভরা।
মায়ের
ইচ্ছায়
অভিনয়‑জগতে প্রবেশ, এরপর
নিজের
দক্ষতা
ও
আবেগ
দিয়ে
প্রতিটি চরিত্রে প্রাণ
দিয়েছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয়
চালিয়ে
গেছেন
তিনি,
যা
প্রমাণ
করে
তার
বহুমুখী প্রতিভা ও
পরিশ্রম। দেশি
ও
টলিউড—দুটি ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে
প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার
শৈল্পিক অর্জন
এসেছে
নিষ্ঠার সুফলে,
আর
ব্যক্তিগত জীবনের
যাত্রাও ছিল
সুখকর।
তার
স্বাভাবিক ও
মিষ্টি
অভিনয়,
বডি
মেজারমেন্টের প্রশান্তি, এবং
ওয়েব,
নাটক
ও
চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অর্জিত
সাফল্য—সব মিলিয়ে তিনি
এখন
বাংলাদেশের জনকণ্ঠে জায়গা
করে
নিয়েছেন।
ভবিষ্যতে তার
আরও
বড়
বড়
প্রজেক্ট ও
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য
অপেক্ষা করা
যায়,
এবং
তার
প্রতিভা ও
দৃঢ়
আত্মবিশ্বাস তাকে
আরও
উঁচুতে
নিয়ে
যাবে।
Comments
Post a Comment